জেলায় জেলায় ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি, ভোগান্তিতে মানুষ

ইআর ডেস্ক:
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে চাকরিচ্যুত হওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে জেলায় জেলায় ‘ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি পালন করেছেন সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। ইতোমধ্যে কয়েকটি জেলায় যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপে চার-পাঁচ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ-সংযোগ চালু হয়েছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পালন করা হয়েছে।

মানিকগঞ্জে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর এলো বিদ্যুৎ

পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রতিবাদে ও দুই দফা দাবিতে মানিকগঞ্জে পুরো জেলায় বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তি পড়েন জেলাবাসী। পরে যৌথ বাহিনীর হস্তক্ষেপে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ-সংযোগ চালু হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পুলিশ ও জেলা পবিস সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে দুই দফা দাবিতে সারা দেশে পবিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবি, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিত করা। এদিকে দুর্নীতির দায়ে আজ সারা দেশে পবিসের ২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে ও দুই দফা দাবিতে আজ সকালে মানিকগঞ্জ সদরের বাগজান এলাকায় পবিসের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একপর্যায়ে বেলা ১১টার দিকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তারা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন জেলাবাসী। খবর পেয়ে দুপুরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়ার জন্য পবিসের কর্মকর্তাদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। বেলা আড়াইটার দিকে সংযোগ দেওয়া হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না নারায়ণগঞ্জে

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ কর্মকর্তার নামে মামলা এবং চাকরি থেকে স্থায়ী অপসারণের প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ব্ল্যাকআউট এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরইবি-পল্লী বিদ্যুৎ একীভূতকরণ, অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে বন্দরের ৩৬০ মেগাওয়াট ও ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ হরিপুরের ১০টি উৎপাদনকেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। বিকাল ৩টার পর থেকে বন্দরের কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না। তবে বিকাল ৫টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।

নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জিএম মুশফিকুল হাসান জানান, কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন নেত্রকোনা

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নেত্রকোনায় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ১০টি উপজেলার সব সঞ্চালন লাইন বন্ধ করে দিয়ে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের রোগীসহ ছয় লক্ষাধিক গ্রাহক।

দুপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে জেলা শহরের চল্লিশা এলাকায় নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে ছুটে যান সেনাবাহিনীর স্থানীয় ক্যাম্পের কর্মকর্তারা। সেখানে সমিতির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানান তারা। বিকালে সমিতির আন্দোলনরত কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি এক বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস। এ অবস্থায় সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসন আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর আশ্বাস দিলে অবশেষে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা জেলার সব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেন।

নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কেন্দুয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মুজিবুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নেত্রকোনাতেও আমরা বিদ্যুৎ সেবা বন্ধ রেখে সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছিলাম। তবে জেলা প্রশাসকসহ সেনাকর্মকর্তারা আমাদের দাবিগুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানোর আশ্বাস দেওয়ায় আমরা আপাতত সব বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সাময়িকভাবে চালু করেছি।

জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সন্ধ্যায় জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের দুজনসহ কয়েকটি জেলায় স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত হওয়া ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় জেলার নয়টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে জেলার সাড়ে সাত লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ না পেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়, জেলা সদর, আশুগঞ্জ ও সরাইল উপজেলার আংশিক কয়েকটি এলাকাসহ বাকি ছয়টি উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় পড়েছে। জেলার নয়টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাড়ে সাত লাখ বাণিজ্যিক ও আবাসিক গ্রাহক রয়েছেন। বিভিন্ন জেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২০ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঘাটুরা কার্যালয়ে জড়ো হন। চাকরিচ্যুত কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মরত সবার ক্ষেত্রে অভিন্ন সার্ভিস কোড চালু এবং অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিত করার দাবিতে বেলা ১১টার দিকে নয়টি উপজেলার বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহাব্যবস্থাপক আবু সায়েম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হবিগঞ্জে ৩ ঘণ্টা পর চালু হলো বিদ্যুৎ

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে পুরো উপজেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সেবা চালু হয়। বৃহস্প‌তিবার বিকাল ৩টা থেকে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ পুনরায় চালু হয়।

নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জুয়েল উর রহমান বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার ও মামলা দায়েরের ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। এরপর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছেন। এজন্য বিদ্যুৎ চালু হয়েছে।

লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল না সোয়া তিন ঘণ্টা

লক্ষ্মীপুরে কর্মসূচি পালন করেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। সমিতির ‘ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচিতে ভোগান্তিতে পড়েন জেলার প্রায় ছয় লক্ষাধিক বিদ্যুতের গ্রাহক। সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সমিতির কর্মকর্তারা। এরপর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন কর্মকর্তা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ এবং চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না চার ঘণ্টা

২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করেছেন চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন এলাকায় সংযোগ বন্ধ করে রাখা হয়। এতে জেলার লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাত ৮টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, পটিয়া, ফটিকছড়ি, আনোয়ারা, বাঁশখালীসহ ১৫ টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ডিজিএম (কারিগরি) জুয়েল দাশ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিকাল ৩টা থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেন। রাত ৮টার দিকে চালু হয়েছে।

কুমিল্লা ছয় ঘণ্টা ছিল না বিদ্যুৎ

২০ জনকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছেন কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর রামপুর এলাকায় কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২-এর অফিসে কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেন তারা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৩ ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-৪-এ বেলা ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকে। এদিকে, কুমিল্লার চারটি সমিতিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পরে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা ৬টায় সংযোগ স্বাভাবিক হয়।

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের সরসপুর ইউনিয়নের বাতাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, ‘সারা দিন এমনিতেই বিদ্যুৎ কম থাকে। যদি কারও দাবিদাওয়া থাকে, তাহলে জনগণকে হয়রানি করবে কেন? এটা জনগণের অধিকারের প্রশ্ন। এসব চিন্তার পরিবর্তন করতে হবে।’

কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কর্মচারীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে না নিলে এবং চাকরিচ্যুত জিএমদের পুনর্বহাল না করলে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি সমিতির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিক্ষুব্ধরা।’

জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বলেছি, বিদ্যুৎ রাষ্ট্রের সম্পদ, এটা বন্ধ করা যাবে না। তারা সংযোগ স্বাভাবিক করেছে। তাদের দাবির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

চার ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন নোয়াখালী

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুতের ওয়্যারিং পরিদর্শক আবু সালাম জাবেদকে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে ৯৩৭টি গ্রামে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুতহীন ছিলেন পল্লী বিদ্যুতের পৌনে আট লাখ গ্রাহক।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সিমিতি সদর দফতরের ডিজিএম (কারিগরি) প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান বলেন, আন্দোলনকারীদের চাকরিচ্যুত করাসহ হয়রানির প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.