বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে যাবে:প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্টজ মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী এসময় বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তার সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসূচিগুলোর কথা তুলে ধরেন। সরকার ভবিষ্যতে এই এসএসএন কর্মসূচি আরও জোরদার করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী ও জার্মান রাষ্ট্রদূতের মধ্যে যোগাযোগ সেক্টরে সহযোগিতার বিষয়েও কথা হয়েছে।

জার্মান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জার্মান বিনিয়োগকারীদের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’

তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আরও কতিপয় দেশকে ইতোমধ্যে শিল্প স্থাপনের জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে জার্মান চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মার্কেলের একটি বার্তা পৌঁছে দেন, যাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নতুন মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের সাফল্য কামনা করেন।

বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আপনার দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আমি আপনার দেশের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।’

চ্যান্সেলর আরও বলেন, ‘অংশীদারিত্বের চেতনা নিয়ে জার্মানি সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার পড়েছেন। এই ইশতেহার বাস্তবায়নে তার দেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিগগিরই দু’টি জার্মান প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে।’

পিটার ফাহরেনহোল্টেজ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বহু খাত রয়েছে।’

তিনি সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্যের এবং হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অনেক জার্মান কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’ তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে পিটার ফাহরেনহোল্টজ বলেন, ‘তিনি তিন দিনের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে বিভিন্ন স্তরের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।বাসস

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.