নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সরকার অনুমোদিত ২০১২ সালের নীতিমালাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত পাঁচটি পৃথক রিটের শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও রাজীব আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
এর আগে কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। দুদকের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ওই নোটিশ দেয় সরকার। পরে ওই নোটিশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা-২০১২ নিয়ে শিক্ষকেরা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
এরপর আদালত গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই চিঠির কার্যকারিতা চার মাসের জন্য স্থগিত করার পাশাপাশি রুল জারি করেন।
পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিল করার অনুমতি চেয়ে লিভ টু আপিল করে। আপিল বিভাগ গত বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে মামলার ওপর জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।
পরে আদালত এ রুল নিষ্পত্তির জন্য সাবেক দুই অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ ও ফিদা এম কামালকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দেন।
এর দীর্ঘদিন পর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়, কিন্তু রায় ঘোষণার আগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল কোচিং বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করতে চাইলে আদালত তাকে সে সুযোগ দেন।
এরপর গত ২৭ জানুয়ারি আদালত এ সংক্রান্ত সব রিটের শুনানি শেষ করে আজ ৭ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন।
Be the first to comment