দেশীয় কয়লা তোলার তাগিদ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামীতে দেশের জ্বালানি পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হচ্ছে ৷ যেসব বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র আসছে সেগুলো আমদানি করা কয়লাও গ্যাসে চালাতে হবে ৷ এতে খরচ বেশি ৷ সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ দিতে হলে নিজেতের কয়লার তিকে নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানিও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ৷ কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে কৃষি জমি, পরিবেশ, স্থানীয় অধিবাসীদের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি ৷
শনিবার ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স -এফইআরবি আয়ো জিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমদানীকৃত কয়লার দর দুইশো ডলারের উপরে পড়ে। সেখানে দেশীয় কয়লা ১২০ ডলারের মধ্যে পাওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ২০২৩ সালের দিকে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে আসবে। ব্যয়বহুল তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১০ হতে ১২ শতাংশ উৎপাদিত হবে।
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলেন, সমন্বয়ের একটি প্রস্তাব এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে ৷ তাদের ওপর উপর নির্ভর করছে। গ্যাসের দাম বাড়লেও বিদ্যুৎ খাতে জন্য তেমন প্রভাব পড়বে না৷
গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ধীরগতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বলেন, সাগরে গ্যাস খোঁজার কার্যক্রম এখনই গ্রহণ করা উচিত। মাল্টি ক্লায়েন্ট সার্ভের কাজ উপর মহলের সিদ্ধান্তে আপাতত বন্ধ, এটা না হলে বিদেশি কোম্পানি আসতে চাইবে না। জরিপ করে যদি সম্ভাবনার দিকগুলো দেখানো যায় তখন বিদেশি কোম্পানি আগ্রহী হবে। এটা না করতে পারলে জ্বালানি খাত পিছিয়ে পড়বে ৷স্থলভাগে অনুসন্ধানে দুর্বলতার জন্য জ্বালানি বিভাগকে দায়ি করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের দক্ষতার অভাব রয়েছে। ত্রিমাত্রিক জরিপের তথ্যে সমস্যা রয়েছে ৷ কূপের নির্দিষ্ট অবস্থান চিহ্নিত করা যাচ্ছে না ৷ তাবি ১০৮টি কীপ খননের পরিকল্পনা আবার পর্যালোচনা করা হচ্ছে ৷
পুরান ঢাকার অগ্নিকান্ডের সঙ্গে সিএনজি সিলিন্ডার প্রসঙ্গ আলোচিত হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এগুলো অবশ্যই বিপদজনক। তবে বন্ধ করা কোনো সমাধান হতে পারে না ৷ ততারকির আওতায় আনতে হবে ৷
আমদানি নির্ভর গ্যাস অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলবে কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা খুবই ছোটো। মনে হয় এটা কোনো সংকট তৈরি করবে না।
এলএনজি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে বলেন, ৮ ডলার দিয়ে কিনলেও ৭ সেন্টের মতো পড়ে। এরচেয়ে বেশি লাগছে ভারত থেকে কেনা বিদ্যুতে। তাই নিজেরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে ভালো। তবে সরকার চিন্তিত উদ্বৃত বিদ্যুৎ নিয়ে। উপযুক্ত ক্রেতা তৈরি না হলে বিদ্যুৎ নিয়ে বসে থাকতে হবে৷
গ্যাসের অবৈধ সংযোগ প্রসঙ্গে বলেন, এলএনজি ৩০ কোটি ঘনফুট ব্যবহার করছে চট্টগ্রাম। ঢাকায় আসছে ১৫ কোটি ঘনফুট। কিন্তুএর কোনো হদিস মিলছে না৷ পুরোনো পাইপলাইনের কারণে হয় এটা সিস্টেম লস হচ্ছে না হয় চুরি হচ্ছে ৷
এফইআরবি চেয়ারম্যান অরুণ কর্মকার অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.