নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগামী তিন বছরে বায়ুশক্তি থেকে অন্তত ৭শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেতে চায় সরকার। এজন্য, সম্প্রতি দেশব্যাপী চালানো জরিপের ফলাফল কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে, দেশে দুটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু থাকলেও, নিশ্চিত করা যায়নি এর সঠিক ব্যবহার। এছাড়া, বিপুল বিনিয়োগের উৎস নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে সরকার। মুহুরী তীরের শান্ত বাতাসে পাখা ঘুরিয়ে বিদ্যুৎ মিলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। যদিও, এটি সার্বিক চাহিদা পুরণের ক্ষেত্রে রয়ে গেছে বহু পেছনে।
কারণ, এক মেগাওয়াটের কম উৎপাদন ক্ষমতার চারটি পাখার একসাথে সবগুলো ঘোরে না কখনোই। ফলে, এই প্রকল্পের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বয়ং টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- স্রেডা। তবে, আশার খবর হলো, নতুন করে বায়ু জরিপ চালানোর পর বড় সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এই এলাকায়।
যেখানে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যেই উৎপাদন নিয়ে যাওয়া হবে ৫০ মেগাওয়াটে। মুহুরীরসহ ৯টি স্থানে বায়ুর উপস্থিতি, ধরণ এবং গতিবেগ জানতে নতুন করে জরিপ চালায় স্রেডা। উদ্দেশ্য, এই শক্তি ব্যবহার করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো। কারণ, সামনের তিন বছরের লক্ষ্যমাত্রা হলো, যুক্ত করতে হবে অন্তত সাড়ে ১১শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। অথচ গেলো ৫ বছর তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি মাঠ পর্যায়ে।
বাংলাদেশের অগ্রগতি কম হলেও, বসে নেই অন্য দেশগুলো।
কারণ, ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী বায়ুবিদ্যুৎ যুক্ত হয়েছে ৫৪ হাজার মেগাওয়াট। আর মোট উৎপাদন ছাড়িয়েছে ৬ লাখ মেগাওয়াট। যা মোট বৈশ্বিক চাহিদার ৬শতাংশের মতো। ওয়ার্ল্ড উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের এই হিসাবে কেবল চীন ২০১৮ সালে যোগ করেছে ২৫৯০০। এছাড়া, প্রতিবছরই উৎপাদন বাড়াচ্ছে ভারতসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।
দেশের বায়ু বিদ্যুতের সবচেয়ে বড় প্রকল্প কুতুবদিয়ায়; যার উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ২ মেগাওয়াট। তবে, এখানেই অন্তত ১শ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে নতুন পরিকল্পনা আছে সরকারের।
Be the first to comment