নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করা হলেও সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। ব্যবসায়ীরা স্বস্তি নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। ফুয়েল মিক্স এর জন্য আগামীতে বিদ্যুতের মূল্য ততটা বাড়বে না। সরকার মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছে।’
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) এর উদ্যোগে ‘জ্বালানির মূল্য: শিল্পখাতে এর প্রভাব’ শীর্ষক সিমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যত্রতত্র শিল্প-কারখানা না করে ইপিজেড বা নির্ধারিত জায়গায় স্থাপন করলে গ্যাস বা বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না। পিক আওয়ার এবং অফ পিক আওয়ারে বিদ্যুতের ব্যবহার ব্যবধান হ্রাস করতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অফ পিক আওয়ারের জন্য ট্যারিফ পুনর্বিবেচনা হতে পারে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক বিদ্যুৎ সচিব মুহাম্মদ ফয়জুল কবির খান। কীভাবে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ে এবং তার প্রভাব ও সম্ভাব্য সমাধান প্রবন্ধে উল্লেখ করেন তিনি। প্যানেল আলোচনায় বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসাইন বলেন, শিল্প কারখানা কেন গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে না। তিনি জ্বালানির বাজারকে রি-রেগুলেট করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. বদরুল আলম গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী কাকন গ্যাসের মূল্য না বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তাৎক্ষণিক চাহিদা মেটাতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া বাবদ ৬ হাজার ৬৬২ কোটি এবং গ্যাসের বিল বাবদ বকেয়া ৬ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। এসব বকেয়া দ্রুত পরিশোধের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর প্রেসিডেন্ট ওসামা তসীর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমরান আহমেদ।
Be the first to comment