‍বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আগামী ৪৮ ঘন্টা কেন্দ্রে থাকার নির্দেশ

ঘূর্ণিঝড় ফণী

বিদ্যুৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঘূর্ণঝড় ফণী মোকাবেলায় চট্টগ্রাম ও খুলনায় অবস্থিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আগামী ৪৮ ঘন্টা সাইটে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বাড়ানো হচ্ছে দক্ষ জনবল।এছাড়া বিকল্প উপায়ে কিভাবে বিদ্যুৎ দেয়া যায় তার একটি পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জোনে ১ হাজার ৬৮১ মেগাওয়াট ক্ষমতার মোট ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। অন্যদিকে খুলনায় আছে ২ হাজার ২০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।

আজ সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নিদের্শনা দেয়া হয়।এ সময় প্রধানমন্ত্রীর এসডিজিবিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয় সম্পর্কীত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী, বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস, পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদসহ বিতরণ কোম্পানির প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে এমনিতেই তিন শিফটে কাজ চলে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাত মোকাবিলায় উপকূলীয় বিভাগ চট্টগ্রাম ও খুলনায় অবস্থিত ‍বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আগামী ৪৮ ঘন্টা সাইটে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।জানা যায়, আগে থেকে আতংকিত হবার মতো কোনো কিছু না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বৈঠকে। কল সংস্থাকে ঘূর্ণিঝড় ফণীকে কেন্দ্র করে সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য, জানমাল যাতে রক্ষা হয়, বিশেষ করে বিদ্যুতের স্থাপনাগুলোতে যোতে কোনো ক্ষতি সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করতে বলা হলে যাতে সাথে সাথেই সেটি বন্ধ করে। একজন কর্মকর্তা জানান, খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপর দিয়ে এই ঝড় যাবার কথা। সেইসব এলাকার কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, অনেক সময় দেখা যায় ঝড়ের কারণে পোল উপড়ে যায়। অনেকেই আতংকিত হয়ে আগেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এতে আমাদের লোড ম্যানেজমেন্টের সমস্যা হয়। ওই সময় ঝড় শুরুর আগেই হঠাৎ করে কেন্দ্র বন্ধ না করে ন্যাশনাল লোড ডেচপাস সেন্টার (এনএলডিসি) এর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, উপকূলীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যদি ক্ষতিগ্রস্ত তাহলে আমরা বিদ্যুৎ কোনদিক দিয়ে চালাবো সে বিষয়ে একটি রোস্টার তৈরি করা হয়েছে।আর যদি কোনো ধরনের ক্ষতি হয় তাহলে তখন তো পোলগুলো সাথে সাথে সরিয়ে নেয়া যাবে না। বরং দ্রুত কিভাবে রিকভার করা যায় সেজন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করে দিচ্ছি। সচিব জানান, নর্থ থেকে কিছু এক্সট্রা ম্যানপাওয়ার আমরা সাউথে পাঠাচ্ছি। যাতে করে এই কাজে দ্বিগুণ লোক পাওয়া যায়।আমরা এনএলডিসিতে একটি মনিটরিং টিম বসিয়ে রাখছি যাতে করে তারা উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালন সবগুলো লাইনই মনিটরিং করতে পারে। দক্ষিণে বিদ্যুতের সমস্যা হলে উত্তর থেকে বিদ্যুৎ নেয়ার জন্য একটি রোস্টারও তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.