নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজিভিত্তিক (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ৫ম বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০ এর অধীনে কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে আনলিমা টেক্সটাইল লিমিটেড এবং জিই ক্যাপিটাল গ্লোবাল এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট বিভি কনসোর্ডিয়াম।
আমদানিকৃত উচ্চমুল্যের এলএনজি নির্ভর এই কেন্দ্র থেকে ২২ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
এরইমধ্যে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। শিগগির ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির কাছে উত্থাপনের জন্য পাঠানো হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্চিনিয়ার খালেদ মাহমুদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘মেঘনাঘাটে এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে একটি প্রস্তাবনা আমরা বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠিয়েছি। প্রস্তাবনাটি এখন বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ক্রয় কমিটিতে পাঠানো হবে।’
বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো প্রস্তাবনায় পিডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশীয় গ্যাস দিয়ে এ কেন্দ্র চালালে ২২ বছরে এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে প্রয়োজন হবে ২১ হাজার ৫২৯ দশমিক ২৫ কোটি টাকা। আর আমদানিকৃত এলএনজি দিয়ে চালালে প্রয়োজন হবে চার লাখ ২২৬ দশমিক ৯২ কোটি টাকা।
এ হিসেবে দেশীয় গ্যাস দিয়ে উৎপাদিত ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দাম পড়বে দুই দশমিক ৯৩৪ টাকা। আর এলএনজি দিয়ে ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের খরচ হবে ৫ দশমিক ৪৫৫ টাকা।
এর আগে সরকার ভারতের রিলায়েন্স পাওয়ারের ৭১৮ মেগাওয়াট, সামিট ও জিই কনসোর্ডিয়ামের ৫৮৩ মেগাওয়াট, ইউনিক হোটেল ও রির্সোটের ৫৮৪ মেগাওয়াট এবং ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এনাড কোম্পানি লিমিটেডের ৫৯০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়।
বিদ্যুৎ বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে।
Be the first to comment