নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামীতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে হাজারো লোকের চাকরি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এছাড়া আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগেই এক হাজার ইঞ্জিনিয়ার ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় কর্মসংস্থান মেলা-২০১৯’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, পটুয়াখালীতে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে। এতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। এখানে আট হাজার শ্রমিক কাজ করছে। যাদের মধ্যে আনুমানিক চার হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক, আর বাকি চার হাজার চীনা শ্রমিক। এ প্রজেক্টের জন্য আমরা চীনা ভাষা জানা ১শ’ জন দোভাষী খুঁজছিলাম। কিন্তু পাইনি।
‘আগামীতে এই প্রজেক্টের জন্য আড়াইশ জন ইঞ্জিনিয়ার দরকার। কিন্তু আমরা পাচ্ছি না। এছাড়া এ প্রজেক্টের জন্য আরও ২শ’ জন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দরকার, তাও পাচ্ছি না। পাওয়ার প্ল্যান্ট চালানোর জন্য একজন বাংলাদেশি অভিজ্ঞ ব্যবস্থাপনা পরিচালকও (এমডি) প্রয়োজন, তাও পাচ্ছি না। ভবিষ্যতে বরিশাল-পটুয়াখালীতে কি পরিমান চাকরির সুযোগ আছে তা আপনারা জানেন না। এটাতো শুধু একটি পাওয়ার প্ল্যান্টের কথা বললাম।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, দিনাজপুরে লোহার খনি আবিষ্কার হয়েছে। আমরা চাচ্ছি কৃষকের জমি নষ্ট না করেই খনি থেকে লোহা উত্তোলন করতে। এটি উত্তোলন করে বাজারজাত করলে বাংলাদেশ প্রতি বছর ১৬ হাজার কোটি টাকা উপার্জন করতে পারবে। দিনাজপুরের মানুষের জন্য এটা একটা বিরাট সম্ভাবনা। সব মিলিয়ে আগামী পাঁচ বছরে যে পরিমান চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে, আমরা কি সেই সুযোগের জন্য প্রস্তুত?
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভেনসেন্ট চ্যাংয়ের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. জাফর উদ্দিন। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক দিলারা আফরোজ খান রুপা, রেজিস্ট্রার লেফট্যান্টে কর্নেল (অব.) মো. ফয়জুল ইসলাম এবং এনআরবি জবস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবে এলাহী চৌধুরী প্রমুখ।
Be the first to comment