নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাগরে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আমদানীকৃত এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) পাইপলাইনে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তাই কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে।
পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ও বিতরণ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে পেট্রোবাংলা ও সামিটের প্রতিদিন ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের সক্ষমতা থাকলেও প্রয়োজনীয় পাইপলাইন নির্মিত না হওয়ায় প্রায় ৬০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করা হচ্ছে। দুই কোম্পানিরই ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল (ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট-এফএসআরইউ) কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত। সাগর উত্তাল থাকায় নির্ধারিত সময়কালে এলএনজিবাহী জাহাজ থেকে এফএসআরইউতে পাইপ সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। তাই বুধবার সাড়ে ৩৭ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হয়।
গত বছরের আগস্টে এলএনজি আমদানি শুরুর আগে দেশে দৈনিক ১৬০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি ছিল। সম্প্রতি দৈনিক গড়ে ৬০ কোটি ঘনফুট এলএনজি সরবরাহের কারণে ঘাটতি ১০০ কোটিতে নেমে আসে। এখন তা প্রায় ১২৩ কোটি ঘনফুটে দাঁড়িয়েছে। ফলে শিল্প, বাণিজ্য ও আবাসিক খাতে সরবরাহে টান পড়েছে।
দেশের সবচেয়ে বড় গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাসের পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় বিতরণ পর্যায়ে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই সংকট বেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরবরাহ বাড়বে। বৃহস্পতিবার (আজ) থেকে সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করছি।’
Be the first to comment