নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশে ডিজেলের হঠাৎ অস্বাভাবিক বিক্রয় বৃদ্ধিতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ( বিপিসি)’র চেয়ারম্যান সামছুর রহমান। তিনি বলেন, দেশে ডিজেলের কোনও সংকট নেই। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অতিরিক্ত দাম আদায় করতে চাইলে অথবা অবৈধ মজুদ গড়ে তুললে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি ডিজেল নিয়ে গুজবে কান না দিতে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ডিজেলসহ অন্যান্য তেলের মূল্য বৃদ্ধির কোন পরিকল্পনা সরকারের নেই। সাপ্লাইচেইনে নেই কোন সমস্যা।
আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন(বিপিসি)র রাজধানীর কারওয়ানবাজারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিসির চেয়ারম্যান এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় চলতি বছর বিক্রি প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। জানুয়ারি মাসের কয়েকটা দিনের হিসেবে প্রায় অস্বাভাবিক বিক্রি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করছে বিপিসি ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। সীমান্ত দিয়ে যাতে ডিজেল পাচার না হয় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিপিসি চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ডিজেলের কোনও সংকট নেই। বরং এখন আমাদের কাছে ১৩ দিন সরবরাহ করা যাবে এমন পরিমাণ ডিজেল আছে। কেউ যদি গুজব ছড়িয়ে ডিজেলের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংকট তৈরির জন্য কেউ বাড়তি মজুদ করছে কিনা, তা জানতে সংশ্লিষ্ট ডিপোগুলোর কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে কোথায় সমস্যা।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের এই মুহূর্তে ১৩ দিনের মজুত আছে। ১৫ ফেব্রুয়ারিতে এই মজুত গিয়ে দাঁড়াবে ২৫ দিনের এবং ১ মার্চ তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৯ দিনের। আজ দুই জাহাজে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন এবং বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুটি জাহাজে ৩৩ হাজার টন ডিজেল আনলোড হবে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে মোট মজুত গিয়ে দাঁড়াবে ৫ লাখ ১৯ হাজার মেট্রিক টনে। এছাড়া কুতুবদিয়ায় আরও ১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন মজুতের একটি জাহাজ রাখা হচ্ছে। যেটিতে ৪০ দিনের রিজার্ভ রাখা হবে।
বিপিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এই মজুদের হিসাব থেকে বোঝা যায় চাহিদারা চেয়ে বেশি মজুত আছে। আমরা উল্টো এই অতিরিক্ত ডিজেল কীভাবে বিক্রি করবো তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।
Be the first to comment