রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মূল যন্ত্রাংশ নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা পারমাণবিক চুল্লি এবং একটি স্টিম জেনারেটর রাশিয়ার ভলগা নদী থেকে যাত্রা শুরু করে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সোমবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সমুদ্রপথে রাশিয়ার ভলগা নদী থেকে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের মোংলা সমুদ্রবন্দরের বহির্নোঙ্গরে পৌঁছে। সেখান থেকে এই যন্ত্রাংশগুলো মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকাল চারটায় মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।

প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।

এর আগে এই কেন্দ্র নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটম জানায়, পারমাণবিক চুল্লি পাত্রটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন এবং স্টিম জেনারেটরের ওজন ৩৪০ টন। এ ধরনের যন্ত্রাংশ স্থানান্তর এবং পরিবহন একটি জটিল প্রক্রিয়া। বিশেষ করে চুল্লি এবং স্টিম জেনারেটর স্বয়ংক্রিয় যানে করে ভোলগোদোনস্কের সিমলিয়ান্সককের একটি জেটিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে এগুলো নভোরোসিয়েস্কে পৌঁছায়। সেখান থেকে কৃষ্ণসাগর এবং সুয়েজ ক্যানেল হয়ে এটি মোংলায় এসে পৌঁছেছে।

রোসাটমের যন্ত্র উৎপাদনকারী শাখা জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশ থেকে জানানো হয়েছে—রাশিয়ার ভোলগোদোনস্কের অটোম্যাসের কারখানায় এগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তিকে সবচেয়ে নিরাপদ বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া।

রোসাটম জানায়, ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কল্পনাতীত। এই প্রযুক্তিকে তৃতীয় প্রজন্মের চেয়ে অগ্রগামী বা থ্রি-প্লাস বলা হয়। পুরোপুরি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও কোনও রকম অপারেটরের সাহায্য ছাড়াই এ ধরনের প্রযুক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

প্রসঙ্গত, সব মিলিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.