নিজস্ব প্রতিবেদক :
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরিকল্পনা না নিলে আগামীতে তা জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের জন্য ভয়ংকর ঝুঁকি তৈরি করবে। তাই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট উৎপাদক, বিপণন, ব্যবহারকারী ও নীতিনির্ধারকদের সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
রবিবার (১০ জানুয়ারি) টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগ আয়োজিত মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক প্রতিনিধির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সময়ের চাহিদা অনুযায়ী দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য পাঠক্রমে ইলেক্ট্রো মেকানিকস, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, আইওটির মতো বিষয় অন্তর্ভুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
কমিশনের লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখা ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উৎপাদনকারীদের সাফল্যের প্রশংসা করে আইনগত বাধা থাকলে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম বেশ কয়েকটি মোবাইল উৎপাদন কারখানা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তাদের গুণগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আগামীতে ৫০ ভাগ ফিচার এবং ৫০ ভাগ স্মার্টফোন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ করতে উৎপাদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
কমিশনের সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বলেন, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রমে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে এবং শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছে।
কমিশনের অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. মেসবাহুজ্জামান শুধু আমদানি বা সংযোজন শিল্পে মনোযোগী না হয়ে দেশে সেমিকন্ডাক্টরসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তির ডিভাইস তৈরি এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী ও আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব দেশেই চাহিদা অনুযায়ী ফোর-জি ও ফাইভ-জি ফোন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে জানিয়ে বলেন, স্মার্টফোনের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দরকার দেশব্যাপী মানসম্পন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক। ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিক্রেতা ও উৎপাদনকারীর সমন্বয়ে উদ্যোগ নিলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি
Be the first to comment