নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, রুপটপ সোলার কর্মসূচির প্রসারে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রয়োজন। কারিগরি ও পরামর্শ সহযোগিতা পেলে গ্রাহকরা নেট মিটারিং পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহিত হবে। আর্থিকভাবে সাশ্রয়ি নেট মিটারিং রুপটপ সোলার নিয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) অনলাইনে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) আয়োজিত নেট মিটারিং রুপটপ সোলার নিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর ৩৬১ কর্মকর্তা নিয়ে প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের সমাপণি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সমাপণি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
একটি সুনির্দিষ্ট টার্গেট নেয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষে কতজন গ্রাহক বা কত মেগাওয়াট নেট মিটারিং সিস্টেমের আওতাভূক্ত আসবে তার পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। আজ যারা প্রশিক্ষণ নিল তাদেরকেও তাঁর নিজ নিজ এলাকায় নেট মিটারিং রুপটপ সোলার কর্মসূচির ব্যাপক প্রসারে কাজ করা উচিৎ। ২৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে নেট মিটারিং নির্দেশিকা ২০১৮ উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রাহকরা এর সুবিধা তেমন পায়নি বললেই চলে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড জেনারেশনকে উৎসাহিতকরণের লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নেট মিটারিং পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক নিজ স্থাপনায় স্থাপিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক সিস্টেমে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিজে ব্যবহার করে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ বিতরণ গ্রিডে সরবরাহ করেন। এভাবে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের জন্য সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল পরবর্তী মাসের সাথে সমন্বয় করা হয়। এ প্রক্রিয়ার ফলে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হয়।
Be the first to comment