নিউজ ডেস্ক:
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপকতা বাড়াতে প্রয়োজন গবেষণায় বিনিয়োগ। সৌরবিদ্যুতের জন্য জমির পরিমাণ কমানোকল্পে প্রযুক্তি আবিস্কার করা সময়ের দাবি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ বা বায়ু থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ ও গবেষনাকে স্বাগত জানানো হবে।
আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) অনলাইনে “সেকেন্ড ভারচুয়াল মিনিষ্ট্রিয়াল মিটিং অফ দ্য কপ২৬ এনার্জি ট্রান্সজিশন কাউন্সিল (কপ ২৬ ইটিসি)” – বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কপ ২৬ ইটিসি- এর সহ -সভাপতি ডামিলোলা ওগোনবিয়ি এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মাঝে ভারতের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আর. ক. সিং, নাইজেরিয়াল বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী গডি জেডি আগবা , মিশরের বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী আহমেদ কুডিয়ান, মরক্কোর বিদ্যুৎ মন্ত্রী আজিজ রাব্বাহসহ ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাউস, পাকিস্তান, ফিলিপাইন্স, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিবৃন্দ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন , এনার্জি ট্রানজিশন কাউন্সিল পারষ্পরিক সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে ক্লীন এনার্জি ব্যবহার করে টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়তে কাজ করছে। বাংলাদেশ ক্লীন এনার্জি ব্যবহারে অত্যান্ত ইতিবাচক। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ক্লীন ও গ্রীণ এনার্জি নিয়ে গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল ২০১৫ সাল থেকে কাজ করছে। জ্বালানি দক্ষতা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ২০১৪ সাল থেকে টেকসই এবং নাবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অংশীজনদের নানাভাবে সহযোগিতা করছে। সচেতনতা বাড়াতে ২০১০ সাল থেকে আয়োজন করা হচ্ছে বিদ্যুৎ সপ্তাহ।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, উন্নয়নশীল থেকে মধ্যম আয়ের দেশ, মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশ, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি, চাকরি থেকে উদ্যোক্তা, ডিজিটালাইজেশন থেকে শিল্প বিপ্লব প্রভৃতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। রূপকল্প -২০২১ , রূপকল্প -২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, বদ্বীপ পরিকল্পনার সাথে সমন্বয় করে জ্বালানি বৈচিত্রতা, ক্লীন এনার্জি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় রেখে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্লান করা হয়েছে। যা সময় সময় পারিপার্শিকতার প্রেক্ষিতে হালনাগাদ করা হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১৭ভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদন করা হবে। ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন গ্রামীণ জনগণকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। জমির স্বল্পতার জন্য বড় আকারে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা সম্ভব হচ্ছে না। জমি কম লাগে এমন প্রযুক্তিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।
Be the first to comment