এলপিজি বিক্রি মনিটরিং করবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিইআরসির নির্ধারিত দামে এলপিজি বিক্রি মনিটরিং এ মাঠ প্রশাসনের সহায়তায় কাজ করবে জ্বালানি মন্ত্রণালয়। এদিকে এলপিজি খাতের জন্য একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর বিষয়েও কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) এনার্জি এন্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত “বিইআরসি‘স এলপিজি প্রাইসিং অ্যান্ড ইটসসাসটেনেবিলিটি” শীর্ষক আলোচনায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান এই কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইপি সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন। ইপি টকস এ প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সদস্য মকবুল ই এলাহী চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বসুন্ধরা এলপিজির হেড অব ডিভিশন জাকারিয়া জালাল। আলোচনায় অংশ নেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন, ড. ম. তামিম, এনার্জিপ্যাকের সিইও হূমায়ুন রশীদ, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার আবদুস সালেক, ওমেরা গ্যাসের তানজিম চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
সচিব বলেন, জ্বালানি বিভাগের একটি কমিটি এলপিজি প্রাইসিং ফরমূলা তৈরী নিয়ে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু ক্যাবের মামলার কারণে আদালত বিইআরসিকে দাম নির্ধারণের আদেশ দেয়া তা থমকে গেছে। অবশ্য ক্যাবের মামলার সময় লোয়াব (এলপিজি ওনাস এসোসিয়েশন) আদালতে গেলে রায় অন্যরকমও হতে পারতো। তিনি বলেন, এলপিজি খাতের জন্য একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। কেননা একজন অপারেটর বিভিন্ন অনুমতি জন্য ২৮ প্রতিষ্ঠানের কাছে যাবে তা গ্রহনযোগ্য নয়। তিনি আশা আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন নীতিমালার আওতায় একক রেগুলেটরি এলপিজি খাতকে সিঙ্গেল পয়েন্ট সার্ভিস দিতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি যে আদেশ জারি করেছে তা পালনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিইআরসি সদস্য মকবুল ই এলাহী চৌধুরী বলেন, ভোক্তা এবং অপারেটর সকলের স্বার্থ বিচেনায় নিয়েই এলপিজির সর্বোচ্চ বিক্রি মূল্য ৯৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে মার্চের সিপি (সৌদী আরেমকো কন্ট্রাক্ট প্রাইস) অনুসরণ করে। এলপিজির দাম, পরিবহন খরচ, অপারেটর, ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার চাজ, স্থানীয় পরিবহন খরচ সব বিবেচনা করেই দাম চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরের মাসগুলো থেকে কেবল সিপির সাথে দামের সমন্বয় করা হবে। মনে রাখতে হবে দাম নির্ধারণ করার দায়িত্ব বিইআরসি হলেও তা বাস্তবায়ন সরকারের সংশ্লষ্ট বিভাগকে করতে হবে।
জাকারিয়া জালাল বলেন, এলপিজির দাম নির্ধারণ করাটি একটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু বিইআরসির নির্ধারিত দামে কস্ট অব ফান্ড, ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর কমিশন, পরিবহন খরচ যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি। ফলে নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে হলে অপারেটরা ধীরে ধীরে প্রতিযোগিতা ও সরবরাহ সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।
প্রফেসর এম তামিম বলেন, রেগুলেটর বাজারে একটি পণ্যের দাম নির্ধারণের ফরমূলা করে দিতে পারে। তারা সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তাও মনিটরিং করতে পারে। কিন্তু পণ্যের বিক্রি মূল্য নির্ধারণ করে দিলে তা হবে অপারেটরদের হাতপা বেধে পানিতে ফেলে দেয়ার শামিল। এটা বাজারে মানসম্মত পন্য নিরাপদভাবে সরবরাহ করার পরিবেশ বিঘ্নিত করবে। ইজাজ হোসেন বলেন, অপারেটর নয়, বরং ডিস্ট্রিবিউটর ও রিটেলারদের দাম নিয়ে খেলার সুযোগ আছে। ফলে প্রতিমাসের দাম সমন্বয় করে তার ব্যবস্থাপনা খুব কঠিন হবে। ডিলারের কাছে আগের মাসের বেশি দামে পণ্য মজুদ থাকলে তা নিয়ে সংকট দেখা দেবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.