কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে জাপানি বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে জাপানি বিনিয়োগ বন্ধের দাবি
বাংলাদেশের মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে সব ধরনের জাপানি বিনিয়োগ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। পৃথিবীর সাতটি ধনী দেশের ফোরাম জি-৭ -এর শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে তারা এ দাবি জানান।

শুক্রবার (১১ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশের বৈদেশিক দেনা বিষয়ক কর্মজোট (বিডব্লিউজিইডি) ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে জলবায়ু কর্মীরা বলেন, অবিলম্বে মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র (১ম পর্যায়) নির্মাণ স্থগিত করে যে পর্যন্ত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে তার উপর তরল হাইড্রোজেনের মতো কম দূষণকারী জ্বালানির বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প এখনই বাতিল করে সৌর বা বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিতে হবে। জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে সব ধরনের জাপানি বিনিয়োগ বন্ধ করতে হবে, মাতারবাড়ির স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জনসাধারণের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ঢাকা জেলার সমন্বয়কারী রুহুল আমিন রাব্বি জানান, গত ২১ মে পৃথিবীর সাতটি ধনী দেশের জোট জি-৭-এর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেয় যে, তারা আর কয়লাখাতে বিনিয়োগ করবে না। ওই দেশৎগুলো হলো কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। জি-৭ এর সদস্য রাষ্ট্র জাপান সম্মিলিতভাবে নেয়া এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে কয়লাবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে৷ আমাদের মতো দরিদ্র দেশকে ঋণ দিয়ে আমাদের কাঁধে ঋণের বোঝা চাপিয়েছে। এখন ঋণ শোধ করতে গিয়ে আমাদের মাথাপিছু ঋণ দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার টাকার ওপরে।

তারা পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, ২১০০ সাল নাগাদ মানুষের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি থামাতে হলে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের সবথেকে বড় কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার। এই সময়সীমার মধ্যে শূন্য নির্গমন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের হাতে আর সময় নেই। তাই আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার (আইইএ) সুপারিশ অনুসারে এখনই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.