নিউজ ডেস্ক:
২০২০-২১ অর্থবছরে ইস্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেড (ইআরএল) ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (ক্রুড অয়েল) পরিশোধন সক্ষমতার (১৫ লাখ মেট্রিক টন) শতভাগ অর্জন করেছে। এর মধ্যদিয়ে জ্বালানি তেল পরিশোধনে মাইলফলক গড়লো ইআরএল।
আজ বুধবার (৩০ জুন) ইআরএল’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে, চলমান করোনা মহামারী পরিস্থিতির মধ্যেও ইআরএল এ সাফল্য অর্জন করেছে।
ইআরএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. লোকমান বলেন, প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নিরলস পরিশ্রম, সুচিন্তিত পরিকল্পনা ও সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়েই শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে।
ইআরএল’র ম্যানেজার (জনসংযোগ) জান্নাতুল ফেরদৌস স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লি. ৭ মে ১৯৬৮ সালে বার্ষিক ১৫ লাখ মে. টন পরিশোধন সক্ষমতায় উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘ ৫৪ বছর ধরে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিরবচ্ছিন্নভাবে গুণগত মানসম্পন্ন জ্বালানি তেল উৎপাদন করে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং জাতীয় অর্থনীতিতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান (সচিব) ও ইআরএল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও পরিচালকমন্ডীর সময়োপযোগী সঠিক দিকনির্দেশনা, নিবিড় তদারকি এবং আন্তরিক সহযোগিতায় শতভাগ এই সক্ষমতা অর্জনে মূল নিয়ামক শক্তি উল্লেখ করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
ইআরএল কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ধিত চাহিদার বিপরীতে সরবরাহের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এরমধ্যে ইস্টার্ন রিফাইনারীর বাস্তবায়নাধীন ৩০ লাখ মে. টন ক্রুড অয়েল পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ এবং ‘ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’- উভয় প্রকল্প উল্লেখযোগ্য।
বর্তমানে প্রকল্প দু’টির বাস্তবায়ন কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আশা করা যায়, উভয় প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন হলে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে। সেই সাথে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়সহ অধিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
Be the first to comment