আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে হয়তো চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত: লিটন

ক্রীড়া প্রতিবেদক :
প্রথম তিন ওভারে পাঁচটি বাউন্ডারি। এমন দারুণ শুরুর পর তৃতীয় ওভারে আউট হয়ে গেলেন লিটন দাস। দিক হারানোর সেই শুরু, এরপর আর কক্ষপথে ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারের পর নিজেদের ভুল বুঝতে পারছেন বাংলাদেশ ওপেনার।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার ৫২ রানের ওই হারের পেছনে নিজের দায় দেখছেন লিটন। সোমবার বিসিবির পাঠানো বার্তায় বললেন, তিনি আরেকটু দায়িত্ব নিয়ে খেললে হয়তো চিত্রটা অন্যরকম হতে পারত।

“যেহেতু কম রানের ম্যাচ হচ্ছে, তাই রান করাটা এত সহজ না। বাউন্ডারি মারাটা কঠিন, ছক্কা কিংবা চার মারাটাই অনেক কঠিন। আমার মনে হয়, সিঙ্গেলে একটু বেশি মনোযোগ দিতে হবে। ‘রানিং বিটুইন দা উইকেট’ এ একটু বেশি মনোযোগ দিতে হবে।”

“আমি আর নাইম শুরুটা ভালো করেছিলাম। আমি যদি ওই জায়গাটায় আরেকটু সেন্সিবল ক্রিকেট খেলতে পারতাম, আরেকটু দায়িত্ব নিতে পারতাম, কাজটা সহজ হয়ে যেত। কারণ দ্বিতীয় ম্যাচেও আমার ও নাইমের ভালো একটা জুটির কারণে পরের ব্যাটসম্যানরা সহজ ব্যাটিং করতে পেরেছে। এরকম সুযোগ এলে পরের বার চেষ্টা করব ইনিংস বড় করার জন্য।”

স্রেফ ৭৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ শেষ ১৭ ওভারে মারতে পারে কেবল একটি বাউন্ডারি।

নিচু মন্থর টার্নিং উইকেটে সংগ্রাম করতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানদের জন্য মানিয়ে নেওয়ার কাজটা আরেকটু বেশিই কঠিন হচ্ছে, জানালেন লিটন।

“ব্যাটিং কন্ডিশন একটুতো চ্যালেঞ্জিং। গত ৩ টা ম্যাচেই কম রান হয়েছে। আমরা না শুধু তাদের ব্যাটসম্যানরাও ভুগছে। এটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় কারণ, টি-টোয়েন্টিতে সবসময় লক্ষ্য থাকে বড় স্কোর করার বা রানের চাকা সচল রাখার। যেহেতু এ জিনিসটা হচ্ছে না খেলাটা সেভাবে পাল্টাতে হচ্ছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এরকম উইকেটে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। কারণ, সব ব্যাটসম্যানই একটু আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকে।”

আগামী বুধবার মিরপুরের মন্থর উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার আরেকটি চ্যালেঞ্জ নিতে হবে লিটনদের। সেদিন সিরিজ নিশ্চিত করতে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.