টেক প্রতিবেদন:
বাংলাদেশ সরকার ফেসবুকের কাছে কোনও অনুরোধ করলে তারা গুরুত্ব দিয়ে সাড়া দিতে চায় না— এ অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। কিন্তু তথ্য উপাত্ত বলছে, ফেসবুকের চেয়ে বরং কম সাড়া দেয় ইউটিউব। শতকরা হিসাবে ফেসবুকের সাড়া দেওয়ার হার ২৬ শতাংশ। অপরদিকে ইউটিউবের সাড়া দেওয়ার হার ১৪ শতাংশ।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কনটেন্ট এবং আনুষঙ্গিক বিষয়’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা তথ্যে দেখা গেছে, গত এক বছরে বিটিআরসি ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ১৮ হাজার ৮৩৬টি লিংক অপসারণের অনুরোধ করেছে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৮ লিংক অপসারণ করে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি। ১৩ হাজার ৯৪৮টি লিংক এখনও সক্রিয় রয়েছে। এই হিসাবে ফেসবুকের লিংক অপসারণের হার ২৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। অপরদিকে ইউটিউবে ৪৩১টি লিংক বন্ধ করার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ৬২টি লিংক বন্ধ করা হয়। শতকরা হিসাবে যা ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এছাড়া সিটিডিআর (সাইবার থ্রেট ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স) এর মাধ্যমে এক হাজার ৬০টি ওয়েবসাইট এবং লিংক বন্ধ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বন্ধের হার শতভাগ। সিটিডিআর সরকার নিজ উদ্যোগে পরিচালনা করে। এ কারণে এটির সফলতা শতভাগ বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনও রাষ্ট্রবিরোধী, ধর্মীয় উসকানিমূলক বা এ সংক্রান্ত কোনও কনটেন্ট অপসারণ কিংবা বন্ধ করার অনুরোধ পাওয়া সাপেক্ষে বিটিআরসি কারিগরি ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কেউ সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তিগত বা পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিলে, বিটিআরসি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সাইবার জগতের কনটেন্ট মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনায় বিটিআরসিতে নতুন করে ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ গঠন করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘বিটিআরসি প্রতিনিয়ত অনলাইন মনিটরিং করছে, তবে এক্ষেত্রে আমাদের জনবলের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে কীভাবে সাইবার জগতকে অধিক নিরাপদ করা যায়, আমরা সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি অভ্যন্তরীণ যেকোনও ওয়েবসাইট, লিংক, ব্লগ বা সংশ্লিষ্ট অনলাইন কনটেন্ট বন্ধ, সাময়িক স্থগিত বা অপারেশনাল কার্যক্রম সীমিতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে।
Be the first to comment