নিজস্ব প্রতিবেদক:
এলপিজি অপারেটররা বলছে এক দশমিক ৭ ভাগ লাভে তারা দেশে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। এতে তারা যেমন দেউলিয়া হয়ে যাবে তেমনি ব্যাংকগুলোর কাছে খেলাপি হয়ে পড়বে তারা।
আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (ইআরসি) আয়োজিত এলপিজির দর নির্ধারনে আয়োজিত গণশুনানিতে এলপিজি ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন।
শুনানিতে তারা বলেন, এইখাতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১৩ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ইআরসির এলপিজির দাম নির্ধারণের কারণে তারা সংকটে পড়েছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে।
শুনানিতে ইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, আপনারা কিসের ভিত্তিতে এই এক দশমিক সাত ভাগ বা দুই ভাগ লাভের কথা বলছেন। তখন অপারেটরদের পক্ষ থেকে টোটাল গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সিদ্দিক বলেন, আমার সহকর্মিরা হিসেব করে এটি বের করেছেন। তিনি বলেন ভিয়েতনামে ১৩ ভাগ, ভারতে ১০ ভাগ ব্যবসা করে এলপিজি অপারেটরা।
শুনানিতে বসুন্ধরা এলপি গ্যাসের হেড অব সেলস জাকারিয়া জালাল বলেন, সরকারি এলপিজি বিক্রিতে অপারেটরদের ৫০ টাকা, সেখানে বেসরকারি অপারেটরদের ২৪ টাকা কমিশন দেয়া হয়। অন্যদিকে সরকারি এলপিজির রিটেইলারদের ৫০ টাকা কমিশন, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলারদের ২৭ টাকা কমিশন দেয়। মাত্র ২৪ টাকা কিম্বা ২৭ টাকা কমিশন দিয়ে একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব কি না জানতে চান তিনি। জাকারিয়া বলেন, আমাদের কমিশন এক দশমিক ৭ ভাগ লভ্যাংশ দিয়েছে। এই সামান্য লভ্যাংশ দিয়ে কি আমাদের পক্ষে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব কি না বলে তিনি প্রশ্ন করেন।
শুনানিতে এলপিজি অপারেটরদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কোন কোন ব্যবসায়ী ৩০ হাজার টন আমদানি করে আবার কোন কোন ব্যবসায়ী দেড় হাজার টন আমদানি করে। বিইআরসি দাম নির্ধারণের সময় আট হাজার টন আমদানি করে এমন কোম্পানি ধরে এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছে। এতে করে ছোট এলপিজি ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছে। তারা এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে।
শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে কমিশন সদস্যরা ছাড়াও ভোক্তা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Be the first to comment