নিউজ ডেস্ক:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় ইকোটেক্স নিটওয়ার কারখানার সামনের সড়কের মাঝখানে তিতাস গ্যাসের পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। নির্গত গ্যাসে যেকোনো মুহূর্তে আগুন লেগে বড় ধরনের দুর্ঘটনাসহ জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে। এই সড়কের দু’পাশসহ আশপাশে প্রায় ১০টি শিল্পকারখানা রয়েছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে গার্মেন্ট কারখানার লক্ষাধিক শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। তা ছাড়া সহস্রাধিক যানবাহনও চলাচল করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। এ নিয়ে ওই সড়ক দিয়ে চলাচলরত জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও গ্যাসের পাইপ লিকেজ হয়ে শিল্পাঞ্চলের প্রায় সাতটি স্থানে গ্যাস বের হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে সুতা বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াছিন মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিল্ক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির একটি পিকআপ ভ্যান সুতা বহন করে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় যানজটের কারণে ইকো-টেক্স কারখানার গেটের সামনে আটকে যায়। ওই গাড়ির নিচ দিয়েই প্রায় এক মাস ধরে তিতাস গ্যাস লাইনের পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হচ্ছিল। এ সময় গাড়ির স্যাইলেন্সার পাইপ দিয়ে নির্গত ধোঁয়ার সাথে বের হওয়া অগ্নিস্ফূলিঙ্গ গ্যাসের সংস্পর্শে এলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মাটি ও বালু দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। এতে গাড়িতে থাকা মূল্যবান সুতা নষ্ট হয়ে যায়। এই রাস্তা দিয়ে ওই এলাকার ডিভাইন, ফারইস্ট, ইকোটেক্স, এপেক্স, আহসান কাম্পোজিট, ডালাসসহ প্রায় ১৫টি গার্মেন্ট কারখানার পণ্যবাহী গাড়ি, কয়েক হাজার যানবাহন, বিভিন্ন কারখানার লক্ষাধিক শ্রমিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে আসছে।
এলাকাবাসী ও শিল্পকারখানা কর্তৃক্ষের অভিযোগ, তারা গ্যাস লিকেজের বিষয়টি চন্দ্রা তিতাস গ্যাস জোনাল অফিস কর্তৃপক্ষকে বারবার জানালেও গ্যাস অফিস কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ছাড়া উপজেলার শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পাইপ লিকেজ হয়ে ও অবৈধ সংযোগস্থল দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট গ্যাস বের হয়ে জাতীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে।
সিল্ক ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানান, ওই স্থানে দীর্ঘ দিন ধরে গ্যাসের পাইপ লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হচ্ছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস বন্ধের জন্য,কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাসের চন্দ্রা জোনাল অফিসে গেলে অফিসের পিয়ন ছাড়া কাউকে পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, এই অফিসের পুরাতন অফিসার চলে গেছেন, নতুন একজন যোগদান করার পর তিনি কোথায় গেছেন তিনি বলতে পারবেন না। লিকেজ হওয়া পাইপ থেকে গ্যাস নির্গত হওয়া বন্ধ করে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ওই সড়কে চলাচলরত শ্রমিক ও এলাকাবাসী।
Be the first to comment