নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে প্রাথমিক জ্বালানির সংস্থান কঠিন হবে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) দাম বেড়ে যাওয়ায় এই সংকটের কথা বলা হচ্ছে।
আজ শনিবার (২ অক্টোবর) এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি চালু হওয়া ছাড়াও রামপাল, মাতারবাড়ি এবং রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার কমবে। একইসঙ্গে উৎপাদিত বিদ্যুৎ কারখানায় সরবরাহ করা গেলে সেখানেও গ্যাসের চাহিদা কমবে। কিন্তু এর আগে গ্যাসের ব্যবহার কমানো কঠিন হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বাড়ছে। এখন সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি ৩৬ ডলারে কিনছে।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, কোনও একসময় দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি মিশ্রণ ছিল না। এখন আমরা গ্যাসের পাশাপাশি কয়লা এবং তেল ব্যবহার করছি। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে সব ধরনের জ্বালানির দাম বাড়ছে। এই কারণে দেশে আরও জোরেশোরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, তেল গ্যাস অনুসন্ধানে যে অগ্রগতি আমাদের দেখানো উচিত ছিল তাও আমরা দেখাতে পারিনি।
ওয়েবিনারে গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে অধ্যাপক ইজাজ হোসেন বলেন, আমাদের উচিত দীর্ঘ মেয়াদি এলএনজি আমদানি চুক্তি করা। স্টপ মার্কেটে তো অনেক সময় গ্যাসের দাম ৫০ ডলারও হয়ে যেতে পারে। আবার কোনও কোনও সময় সেখানে গ্যাস নাও থাকতে পারে। ফলে এর ওপর ভিত্তি করে দেশের পরিকল্পনা সাজানো উচিত নয়।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ খন্দকার আব্দুস সালেক সুফি বলেন, চীন, জাপান বিপুল পরিমাণ এলএনজি আমদানি করে থাকে। আমরা যদি তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারি তাহলে তারা কিনে রাখা কার্গোগুলো যখন বিক্রি করে দেয় তখন আমরা কিনে নিতে পারি। তিনি বলেন, দ্রুত আমাদের গ্যাসের উৎপাদন কমছে। কাজেই সরকারকে সুচিন্তিত পরিকল্পনা নিতে হবে।
পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, আমরা অনেক দিন থেকে বলে আসছি জ্বালানি মিশ্রণ এমনভাবে থাকা উচিত যাতে একটি জ্বালানিতে কোনও সমস্যা হলে অন্যটিতে যাওয়া যায়। আমাদের দুটি এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এজন্য আমাদের উচিত মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করা।
Be the first to comment