নিজস্ব প্রতিবেদক :
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (ইআরসি) আট খাতে এলপিজি অপারেটরদের ৪২ টাকা ৮৮ পয়সার অতিরিক্ত সুবিধা দিয়েছে। আগে যেখানে বোতলজাত করন, মজুতকরণসহ সব খাতে ১৪৩ টাকা ছিল, এখন সেটা বাড়িয়ে ১৮৫ টাকা ৮৮ পয়সা করা হয়েছে। ১২ কেজির একটি বোতলে বিক্রয়, বিপণন, বিতরণ, প্রশাসিক ও সাধারণ ব্যয় ৬ টাকা ৩২ পয়সা, অবচয়ে ১৬ টাকা ৮৪ পয়সা, ঋণের সুদে ১৩ টাকা, রিটার্ণ অন ইকুইটি ৮ টাকা ২৮ পয়সা, করপোরেট করে ৪ টাকা ৮৪, মোট মজুতকরণ ও বোতলজাতকরণ ব্যয় ৪৮ টাকা ৭২ পয়সা, অন্যান্য আয় এবং বাল্ক বিক্রয়জনিত ব্যয় সমন্বয় ৫ টাকা ৮৪ পয়সা এবং ফ্যাক্টরি পরিচালন ব্যয় ৪৪ পয়সা বাড়িয়েছে কমিশন।
সৌদি সিপিতে এলপিজির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির সঙ্গে অপারেটরদের কমিশন বাড়ানোতে এবার ১২ কেজি একটি বোতলের মুল্য এক ধাপে বেড়ে ২২৬ টাকা। এরমধ্যে মুসক (কর) ৭৯ টাকা এবং সৌদি সিপি অনুযায়ী এলপিজির ১২ কেজির দর ৮১৮ টাকা৷
চলতি মাসের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে এলপিজি মুসক সহ প্রতি কেজি ৮৬ টাকা ৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৪ দশমিক ৯২ করা হয়েছে। এর ফলে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৩৩ টাকা থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৫৯ টাকা নিধারণ করেছে বাংলাদেশ এনাজি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)
আগস্টে এর দাম ধরা হয়েছিল ৯৯৩ টাকা।
একই সঙ্গে বেড়েছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। অক্টোবর মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫০.৫৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৮ দশমিক ৬৮ নির্ধারণ করা হয়। বেড়েছে প্রায় ৮ টাকা ১২ পয়সা।
আজ রোববার (১০ অক্টোবর) কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিইআরসির শুনানি কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এই দাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব রুবিনা ফেরদৌসী, সদস্য মকবুল ইলাহি, আবু ফারুকসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড প্রতি) এলপিজির দাম প্রতি কেজি ৮৩ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০১ টাকা ৬৮ পয়সা করা হয়।
Be the first to comment