নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্যাসের প্রি পেইড মিটার কেনার নীতিমালা ২০২১ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে জ্বালানি বিভাগ। এতে করে এখন থেকে গ্রাহকরা খোলা বাজার থেকেই নিজেরাই মিটার কিনতে পারবেন। তবে মিটার স্থাপনের আবেদনের সাথে কেনা মিটারটিও সংশ্লিষ্ট বিতরণ কোম্পানিতে জমা দিতে হবে। কোম্পানি যাচাই বাছাই করে মিটারের মান নির্ণয়ের পর মিটার স্থাপন করতে পারবেন গ্রাহক। এ বিষয়ে ’ আবাসিক পর্যায়ে খোলা বাজার হতে প্রি পেইড /স্মার্ট গ্যাস মিটার ক্রয় ও স্থাপন নীতিমালা ২০১৯ (সংশোধিত ২০২১) এর গ্যাস প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি।
নীতিমালায় মোট ১৭টি ধারা রয়েছে। এরমধ্যে ধারা ৭ এ বলা হয়, খোলা বাজার থেকে নিধারিত স্পেসিফিকেশনের উন্নতমানের মিটার কেনার বিষয়টি নিজ দায়িত্বে নিশ্চিত করবে গ্রাহক। মিটার স্থাপনের আবেদনের সাথে কেনা মিটার গ্যাস বিতরণ কোম্পানি কাছে জমা দিতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট গ্যাস বিতরণ কোম্পানি সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে নিজস্ব টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে গ্রাহকের মাধ্যমে খোলা বাজার থেকে কেনা মিটারের যথাযথ কার্যকারিতা পরীক্ষা –নিরীক্ষা , গুণগত মান যাচাই ও ইন্টারফেসিং নিশ্চিত করবে। এক্ষেত্রে মিটার স্থাপনে রাইজার মডিফিকেশন, কমন হেডার তৈরি এবং মিটারকে গ্রাহকের অভ্যন্তরীণ লাইনের সাথে স্থাপনসহ কমিশনিং গ্যাস বিপণন নিয়মাবলী অনুযায়ি বিতরণ কোম্পানির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। এ সংক্রান্ত সব ব্যয় গ্রাহক বহণ করবে। এছাড়া গ্রাহকের অভ্যন্তরীণ লাইনের মডিফিকেশন করার প্রয়োজন হলে তা গ্যাস বিপণন নিয়মাবলী অনুযায়ি কোম্পানির তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের মাধ্যমে গ্রাহক নিজ দায়িত্বে সম্পন্ন করবেন।
ধারা ৮ এ বলা হয় , গ্রাহকের খোলা বাজার থেকে কেনা মিটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে চার্জিং এবং রিচাজিং অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং বিক্রয়োত্তর সেবার বিষয়টিও নীতিমালায় আছে। তাতে বলা হয়, কোম্পানির নিজস্ব জনবল দ্বারা বিভিন্ন এলাকায় পয়েন্ট অব সেলস স্থাপন করতে পারে। কোম্পানি তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ করে বা আউটসোর্সি করতে পারে, কোম্পানির হটলাইন বা গ্রাহকসেবার মাধ্যমেও চার্জিং করা যেতে পারে। ব্যাংক, কমন বুথ বা ভেন্ডিং সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যেতে পারে। এমনকি মোবাইল ফোনে এপসও তৈরি করতে পারে।
নীতিমালায় গ্রাহকের জন্য ধারা ১৫ তে বলা হয়, খোলা বাজার থেকে কেবলমাত্র সরকার নির্ধারিত স্পেসিফিকেশনের উন্নতমানের প্রি পেইড বা স্মার্ট মিটার কেনা নিশ্চিত করতে হবে। মিটার কেনার সময় বিক্রয়কারীর কাছ থেকে মিটারে কাগজপত্র, ওয়ারেন্টি, ইউজার ম্যানুয়াল সংগ্রহ করতে হবে। কেনা মিটার এবং কাগজপত্রগুলো বিতরণ কোম্পানিতে জমা দিতে হবে। মিটার স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন করা এবং মিটার স্থাপনে কোম্পানিকে সহায়তা করতে হবে। নিজ চাহিদা অনুযায়ি গ্রাহক মিটার চাজ বা রিচার্জ করতে পারবেন।
জানতে চাইলে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, এখন গ্রাহক চাইলেই খোলা বাজার থেকে মিটার কিনে এনে বসাতে পারবেন। এতে নিজেরও যেমন সাশ্রয় হবে তেমনি গ্যাস চুরিও কমে আসবে।
Be the first to comment