‘নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে সমর্থন করে পরিকল্পনা নিয়েছি “

অনলাইনে নসরুল হামিদ

নিউজ ডেস্ক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে বাংলাদেশ সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌরশক্তির বা সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও বায়ু থেকে বিদ্যুৎ নিয়েও কাজ করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) ন্যাশনাল এনার্জি এডমিনিস্ট্রেশন অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব চায়না (এনইএ) আয়োজিত দ্বিতীয় বেল্ট এন্ড রোড এনার্জি মিনিস্টারিয়েল কনফারেন্স এর ‘প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সহযোগিতার মাধ্যমে জ্বালানির রুপান্তরকে ত্বরান্বিত করা’ শীর্ষক সেশনে ভিডিও বার্তায় বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডার স্বাক্ষরকারী হিসাবে পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তরের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু কার্বন নিঃসরণ দশমিক ৪ মেট্টিকটন, যেখানে বিশ্বের গড় ৪ দশমিক ৫ মিট্টিক টন। একটি কার্বন নিরপেক্ষ জাতি হতে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ৮৪৫১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১০টি কয়লা ভিত্তিক বিদুৎকেন্দ্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বায়ুর ম্যাপিং ৯টি সাইটে করা হয়েছে এবং খুব শিগগিরই অফ-শোর বাতাসের সম্ভাবনা নিয়ে একটি গবেষণা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে জমির অভাব একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জনশক্তি উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি রূপান্তরেও আমরা পিছিয়ে রয়েছি। টাইডালওয়েভ থেকে বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, আধুনিক প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমরা এক সাথে কাজ করতে পারি।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার আওতায় দীর্ঘস্থায়ী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পথ ধরে তেল, গ্যাস এবং কয়লা খাতে উন্নয়নের জন্য উভয় দেশের সহযোগিতা বাড়ানো যেতে পারে। তেল ও গ্যাস খাত সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হতে পারে, উপকূলীয় এবং তীরবর্তী অঞ্চলে (পাহাড়ী অঞ্চল) তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে সহযোগিতা ও চীনা কোম্পানিগুলির আসন্ন পিএসসি বিডিং রাউন্ডে অংশগ্রহণ।

আইইএফ (আইইএফ) ই-এর সাবেক মহাসচিব সান জিয়ান শেং সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সৌদি আরবের জ্বালানি মন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সালমান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের জ্বালানি মন্ত্রী হনরিসায়ি, পাপুয়া নিউগিনির পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী কেরেঙ্গাকুয়া ও আন্তর্জাতিক শক্তি ফোরামের মহাসচিব জোসেফ ম্যাকমনিগল বক্তব্য রাখেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.