মফস্বল ডেস্ক :
পদ্মায় ভাসতে থাকা জ্বালানি তেল সংগ্রহ করছে স্থানীয়রা। ডুবে যাওয়া রো রো ফেরি আমানত শাহ’র প্রায় ৩০ হাজার লিটার জ্বালানি তেল ও মবিল পদ্মার পানিতে ভাসছে। এতে দূষিত হচ্ছে এই নদীর পানি। পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকাসহ আশপাশের পানির ওপর আস্তর পড়েছে তেল-মবিলের।
ভাসতে থাকা তেল-মবিল স্থানীয় নারী ও শিশুরা জ্বালানি হিসেবে সংগ্রহ করছে। তারা এগুলো রান্নার জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করবেন বলে জানান।
অনেকেই আবার অভিযোগ করেছেন, ফেরির তেলের কারণে নদীর পানি দূষিত হওয়ায় গোসলের পর তাদের শরীরে চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। পানি গন্ধ হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম-পরিচালক (উদ্ধার) মো. ফজলুল রহমান। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ হাজার লিটার তেল পদ্মায় ছড়িয়ে পড়ায় পানি দূষিত হতে পারে। সেই সঙ্গে ফেরিতে থাকা নানা পণ্য সামগ্রী ছিল। এসব নদীতে পড়ায় দুর্গন্ধসহ আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে জলজ প্রাণী।’
গত ২৭ অক্টোবর সকালে রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়া আসার পর ১৪টি যানবাহন নিয়ে পাঁচ নম্বর ঘাটে কাত হয়ে ডুবে যায় ফেরি আমানত শাহ। পরে ফেরির ভেতরে আটকে থাকা যান উদ্ধারে জাহাজ রুস্তম ও হামজাকে আনা হয়। এ ছাড়া উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের আসার কথা থাকলেও তাদের সক্ষমতা না থাকায় আসেনি। পরে চট্টগ্রামের বেসরকারি সংস্থা জেনুইন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডকে দুই কোটি টাকা চুক্তিতে ফেরিটি উদ্ধার কাজে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ডুবে যাওয়ার ১৪ দিন পর মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ফেরিটি উদ্ধার করা হয়
Be the first to comment