নিজস্ব প্রতিবেদক :
দুটি এলএনজি টার্মিণালের একটি গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় আগামী দেড় মাস দেশে গ্যাস সংকট দেখা দেয়ার শঙ্কা তৈরী হয়েছে। সরবরাহ সংকটের কথা উল্লেখ করে সাধারণের কষ্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে আজ এক বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর বিকেল ৫টায় সামিট এলএনজির মুরিং লাইন ছিড়ে যায়। ফলে এখন এলএনজি বাহি কার্গো টার্মিণালটিতে ভিড়তে পারছে না। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে ১৮ নভেম্বর বিকেল ৫টায় মুরিং লাইন ছিড়ে যায়। এতে সেখানে আর কার্গো ভিড়তে পারছে না। সামিট বলছে ভ্যাসেল প্লাগ বয়া এবং সেকশন পাইলের মধ্যের একটি মুরিং লাইন ছিড়ে যায়। ছিড়ে যাওয়ার পর কাছাকাছি সময়ে আল সাদ নামে একটি কার্গো আসার কথা ছিল। কিন্তু সেটিকে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, সামিটের রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে যে এলএনজি মজুদ ছিল তা দিয়ে ১০ দিন গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। ফলে এখনও এই সংকট মানুষের চোখে পড়েনি। বলা হচ্ছে আজ বা কাল থেকে এই সংকটের প্রভাব পড়তে পারে। তবে শীতে গ্যাস সংকট থাকলেও বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে। ফলে পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ হবে না।
জ্বালানি বিভাগ বলছে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে মুরিং লাইনটি মেরামত হবে। ইতোমধ্যে সামিট পাওয়ার তাদের ঠিকাদারের কাছে ত্রুটি মেরামতের জন্য মতামত চেয়েছে। এই মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কাজ করা হবে।
এখন এলএনজি থেকে প্রতিদিন ৫৬০ থেকে ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। এদিকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছে এবং প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারে সকলকে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনাল এর মধ্যে একটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান সামিট অপরটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেটর পরিচালনা করছে। এক্সিলারেট সচল থাকলেও অচল হয়ে পড়েছে সামিট। দেশের গ্যাস সংকট সমাধানে প্রতিদিন ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে টার্মিনাল দুটির।
Be the first to comment