‘জ্বালানির সাশ্রয়ী ব্যবহার খুবই জরুরি’

নিজস্ব প্রতিবেদক :

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, গবেষণার পাশাপাশি এনার্জির দায়িত্বশীল ব্যবহার খুবই জরুরি, কারণ এতে ফসিল ফুয়েল ব্যবহার পরিবেশ একটু হলেও দুষণ হচ্ছে। তাই সাশ্রয়ী ব্যবহার খুবই জরুরি।

আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে স্রেডা (টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আয়োজিত বিকিরণ নামক জাতীয় প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টেকসই জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, জ্বালানি সংরক্ষণ ও উদ্ভাবনী ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করতে বিকিরণ আয়োজন করা হয়।

গত ৯ সেপ্টেম্বর এর উদ্বোধন করেছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক টিম এতে অংশ নেন। বাছাই প্রক্রিয়ার মাধামে চুড়ান্ত রাউন্ডে উন্নীত হয় ২৩টি দল। ১১ নভেম্বর চুড়ান্ত পর্বে তিন ক্যাটাগরিতে ৯টিমকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান,
বাংলাদেশ এনার্জি রির্সাচ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ কর্মকার, জার্মান দূতাবাসের হেড অব ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন জোহানেস স্নাইডার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হেড অব এনার্জি এন্ড ক্লাইমেট কোয়েন এভারেস্ট, এসবিকে ভেনচার্সের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবীরসহ অন্যরা।

মুখ্য সচিব বলেন, আজকের প্রতিযোগিতায় নারীদের আধিক্য দারুণ আশার। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে কোনো গবেষণা বাস্তবমুখী হতে হবে। সরকার উদ্ভাবনী চিন্তাকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশ খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আশার কথা হচ্ছে কৃষকরাও দ্রুত প্রযুক্তি শিখে ফেলছে।

সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। কারো কোনো আইডিয়া থাকলে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুন, আমরা উদ্ভাবনকে স্বাগত জানাই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.