নিউজ ডেস্ক:
নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ উৎপাদন করতে চাই। এ জন্য বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু জমি বেশি লাগে বিধায় সৌরবিদ্যুতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন।
যদিও আমরা ছাদে সৌর এবং ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছি। ছাদ সৌরবিদ্যুেক জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে। বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আরো কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বায়ুর ম্যাপিং ৯টি সাইটে করা হয়েছে এবং খুব শিগগির অফশোর বায়ুর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করা হবে। ’
আজ শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) আয়োজিত এক প্যানেল ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের (বিওয়াইএলসি) প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রুপ পিটারসেন, এসবিকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালেরর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির এবং সোলস শেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেবাস্টিয়ান গোর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবেলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে এবং গ্রিন ও ক্লিন এনার্জি দক্ষতা বৃদ্ধিতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে তরুণদেরই নেতৃত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কী ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োজন এবং কেমন প্রযুক্তি টেকসই হবে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গৃহীত হয়েছে বছরভিত্তিক পরিকল্পনা। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্পদ মূল্যায়ন ও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রোডম্যাপ-২০৩০ অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
Be the first to comment