নিজস্ব প্রতিবেদক :
চুক্তি শেষ হওয়া পাঁচটি ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে আরও দুই বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আরও দুই বছর বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বুধবার (২৩ মার্চ) বিকালে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে সংবাদিকদের একথা জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বুঝে শুনেই কুইক রেন্টালের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আমরা একসময় নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারবো। আমরা আজ কুইক রেন্টালের প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছি একটি শর্তে, নো ইলেক্ট্রিসিটি, নো পেমেন্ট।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তারা পাঁচ বছর সময় বাড়ানোর আবেদন করলেও আমরা দুই বছর সময় বাড়িয়েছি। প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়ার সময় একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল কেউ বিদ্যুৎ না নিলেও সরকার বিদ্যুৎ কিনবে। আগামী এক বছরের মাথায় অতিরিক্ত তিন হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তখন আস্তে আস্তে কুইক রেন্টালের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে বিদ্যুৎ পাই বা না পাই আমাদের মূল্য পরিশোধ করতে হতো। আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারলেও সরবরাহসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করা দরকার। আমরা বিশ্বাস করি আগামী এক বছরের মধ্যে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবো। যখন আমরা নতুন করে এই বিদ্যুৎ পাবো তখন এগুলোকে (কুইক রেন্টাল) বিলুপ্ত করতে পারবো।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কি-না প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অবশ্যই এটি যুদ্ধের প্রভাব। সিপিডির বক্তব্য আমরা জানি। আমাদের মনিটরিংয়ে কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা সিপিডির সিস্টেমে। আশপাশে আমাদের যেসব দেশ ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কাসহ প্রতিটি দেশের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি মিলিয়ে দেখুন।’
‘অর্থনীতি সিপিডি ছাড়া কেউ বুঝে না সেটা নয়। দেশের অর্থনীতিতে সিপিডির অনেক অবদান আছে- সেটি আমি অস্বীকার করি না। আমি মনে করি তারাও তাদের মতো করে চিন্তা করেন। কখন কী করতে হবে সেটা বুঝতে হবে।’
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, উপস্থাপিত ১১টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ১৩৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংক থেকে ৪৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
Be the first to comment