নিজস্ব প্রতিবেদক;
দেশে ভোজ্য তেলের সংকটের মধ্যে পেট্রোল এবং অকটেনের সংকট সৃষ্টির গুজব ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। ইতোমধ্যে দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি স্থানে এমন গুজোব ছড়িয়ে সফলও হয়েছে এরা। কিন্তু দেশে ব্যবহৃত পেট্রোল এবং অকটেনের বেশিরভাগই দেশেই উৎপন্ন হয়। দেশের গ্যাস ক্ষেত্রের উপজাত কনডেনসেট দিয়ে এই জ্বালানি উৎপাদন করে বিপিসি এবং দেশের বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ফলে দেশে অকটেন এবং পেট্রোলের কোন সংকটের আশঙ্কা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজে মন্ত্রী জনিয়েছেন গুজব ছড়িয়ে বাড়তি দামে অকটেন এবং পেট্রোল বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী তার ফেইসবুক পেইজে জানান, গত ৭ ও ৮ মে, ২০২২ তারিখে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলে পেট্রোল ও অকটেনের সংকট সংক্রান্ত সংবাদ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) -এর আওতাধীন তেল বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে আপানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মে ও জুন, ২০২২ প্রতিমাসে প্রয়োজন অনুযায়ী অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই সূচি অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহেই জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ছে। অন্যদিকে ইন্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় বেসরকারী প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ আরও সুসংহত করবে।
প্রসঙ্গত, দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রোলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রোলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩৬০০০ মেট্রিক টন এবং ৩৯০০০ মেট্রিক টন। বর্তমান মজুদ, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদন দ্বারা এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, খুলনার দৌলতপুর হতে পার্বতীপুর ও চট্টগ্রাম হতে রংপুরে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে যাত্রী পরিবহনে প্রাধান্য প্রদানসহ ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে উক্ত ডিপোসমূহে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে বর্তমানে সারাদেশে অকটেন ও পেট্রোলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাছাড়া, অন্যান্য জ্বালানি তেলের মজুদ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। জ্বালানি সংকটের কথা বলে কেউ যদি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে অকটেন ও পেট্রোল বিক্রয় করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্রেতা সাধারণকে কোনভাবেই নির্ধারিত মূলোর চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে অকটেন ও পেট্রোল ক্রয় না করার অনুরোধ করা হলো।
Be the first to comment