রশিদ মামুন:
খুব বড় সংকট না হলে স্পট মার্কেট থেকে আপাতত আর এলএনজি আমদানি করবে না পেট্রোবাংলা। দৈনিক যে এলএনজি সরবরাহ করা হয় তারমধ্যে ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করা হতো। এজন্য এলএনজি বাবদ সরকারের বিপুল পরিমান ব্যয় বেড়ে যাচ্ছিলো।
প্রতিদিন গড়ে যে পরিমান এলএনজিকে গ্যাসে রূপান্তর করে সরবরাহ করা হয় তার পরিমান ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এখন ১৫০ মিলিয়ন কমিয়ে দিলে ৪৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি সরবরাহ করা হবে। এতে করে সর্বোচ্চ চাহিদার সান্ধ্যকালীন সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সংকট হবে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার রাত ৮টার পর দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত কঠোর ভাবে মেনে চলার জন্য জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের চিঠি দিয়েছে। রাত ৮টার পর দোকান বন্ধের সিদ্ধান্ত বড় শহরে কিছুটা মেনে চললেও জেলা শহরগুলো রয়ে গেছে ব্যতিক্রম। এখন যেহেতু গ্রামে গঞ্জে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে তাই সেসব হাট বাজারেও দোকান বন্ধের এই আইন মেনে চলার অভ্যাস করাটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে ঢাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রটি বলছে, বৈশ্বিক জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই সঙ্গে স্থায়ি এলএনজি আমাদনির চুক্তি করারও প্রতিও জোর দেয়া হয়েছে।
কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রতি এমএমবিটিউ এলএনজি সিঙ্গাপুরের স্পট মার্কেট থেকে পেট্রোবাংলা ৪৬ ডলারেও কিনেছে। সেখানে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম ১২ ডলারের মধ্যেই থাকে। তবে করোনাকালীন সময়ে স্পট মার্কেটে এলএনজির দাম তিন থেকে চার ডলারেও নেমে এসেছে। তবে ইউক্রেন সংকটে বৈশ্বিক জ্বালানি পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে পড়াতে সারা বিশ্বই জ্বালানি সাশ্রয়ের নানামুখি কৌশল নিচ্ছে।
Be the first to comment