জ্বালানি বিভাগের প্রজ্ঞাপনে তেলের দাম বৃদ্ধি অবৈধ: ক্যাব

জ্বালানি তেল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
জ্বালানি বিভাগ আইনের বরখেলাপ করে পেট্রোলিয়াম পন্যের দাম বৃদ্ধি করছে বলে দাবি করেছে কনজুর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করতে চায় সম্প্রতি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার প্রেক্ষিতে ক্যাব আজ সোমবার (২০ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে দাবি করা হয় বিইআরসি আইন মেনে গণশুনানির মাধ্যমে তেলের দাম বৃদ্ধি করতে হবে।

অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, দিনে ৯০ কোটি টাকা লোকশানের অযুহাতে এই দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে ভোক্তারা চিন্তিত। বিআরসি আইনের ২২ এবং ৩৪ ধরা মতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির দায়িত্ব তাদের। ২৭ ধরা মতে বিপিসি বিইআরসির লাইসেন্সি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিইআরসি এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। আমরা এখান থেকে জানতে পেরেছি সিলিন্ডার প্রতি
পেট্রোলিয়াম জাত পন্যের দাম বিইআরসি নির্ধারণ করলে বোঝা যেত বিপিসি লিটার প্রতি কত বেশি দাম নিচ্ছে। জ্বালানি তেলের লুণ্ঠন দূর করতে হলে বিইআরসির মাধ্যমে দাম নির্ধারণের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মনে করেন।

গত বছর ৩ অক্টোবর ডিজেল এবং কেরশিনের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ক্যাব উচ্চ আদালেত রিট পিটিশন দায়ের করেছে। এই মামলা শুনানি থাকা কালীন সময়ে আবার বিপিসি নিজেই ফার্নেস অয়েলের দাম বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বলা যায় জ্বালানিখাতে আইনের শাসন অচল।

জ্বালানি বিভাগ এবং বিপিসির পরিবর্তে সব ধরনের জ্বালানির দাম বিইআরসির মাধ্যমে বৃদ্ধি করতে হবে। এছাড়া বিপিসির সকল হিসেব মহা হিসাব নিরিক্ষকের মাধ্যমে অডিট করাতে হবে। নিজস্ব উদ্যোগে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করাতে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এমএম আকাশ বলেন, স্বচ্ছ আইনের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ করতে হবে। বিইআরসিতে সেই আইন রয়েছে। কিন্তু বিইআরসি কি কোন দাম নির্ধারণ করেছে। যদি না করে থাকে তাহলে বিপিসি কিভাবে দাম নির্ধারণ করে। বিপিসির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আমরা আদালতে গেছি। আদালত তাদের প্রশ্ন তুলেছে। এর ভিত্তিতে সরকার তাদের কোন প্রশ্ন করেছে, করেনি। কারণ এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সরকার যদি নিজেই নিজের আইন ভাঙ্গে তাহলে তারা একটা আইন করুক ‘সরকার যা খুশি তাই করতে পারবে।‘

অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, রাষ্ট্র অবৈধভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে। তিনি বলেন, বিইআরসি থাকতে রাষ্ট্র কিভাবে আইন অমান্য করে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করে। আর একটি কথা হচ্ছে লুন্ঠন। তিনি বলেন, আমরা অনেক দিন ধরে বলে আসছিলাম রাষ্ট্র আমাদের কাছ থেকে বাড়তি গ্যাসের বিল আদায় করে। এখন বিইআরসি সেটি মেনে নিয়েছে। আগে আামদের কাছ থেকে ৭৭ ঘনমিটার গ্যাসের দাম নেয়া হতো। এখন বিইআরসি ৬০ ঘনমিটারে নামিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, বিপিসির বলা উচিত তারা লুণ্ঠন করছে না।

স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন প্রশ্ন তোলেন বিপিসি কি বাস ট্রাক মালিক এসোসিয়েশন কি না? তাহলে বিপিসি কিভাবে আইন ভাঙ্গেন। তারা সরকারের মধ্যে আরেকটি সরকার করেছে। এখন সংবাদ মাধ্যমে সরকারের কাছে জানতে চাওয়া উচিত কেন তারা আইন ভাঙ্গছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.