নিজস্ব প্রতিবেদক :
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় পাওয়া লোহার খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে একটি পরামর্শক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন-পেট্রোবাংলার বোর্ড রুমে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এবং ডিএমটি কনসালটিং লিমিটেডের মধ্যে ‘প্রিলিমিনারি স্টাডি ফর ডেভেলপমেন্ট অব আলিহাট আয়রন ওর ডিপোজিট অ্যাট হাকিমপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ’ শীর্ষক চুক্তিটি সই হয়।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পেট্রোবাংলার পরিচালক, ডিএমটি কনসালটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ভেসিলস রোবসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম সরকারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির পক্ষে কোম্পানি সচিব উম্মে তাজমেরী সেলিনা আখতার এবং ডিএমটি কনসালটিং লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ভেসিলস রোবস চুক্তিটি সই করেন।
প্রসঙ্গত, জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ (জিএসবি) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার আলিহাট এলাকায় একটি লৌহ-আকরিক সমৃদ্ধ শিলাখনির সন্ধান পায়। প্রাথমিকভাবে ৫ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৬২৫ মিলিয়ন টন লৌহ-আকরিক মজুত রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রাপ্ত এই লোহা সমৃদ্ধ শিলার গভীরতা ৪২৬ থেকে ৫৪৮ মিটার। লৌহ-আকরিক সমৃদ্ধ শিলা স্তরে আয়রন ওর-এর পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ। এই শিলা স্তরগুলোর গড় পুরুত্ব ৬৮ মিটার।
এখন আলিহাট আয়রন ওর ক্ষেত্রের ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনার দায়িত্ব বিসিএমসিএলকে দেওয়া হয়েছে। বিসিএমসিএল ৬ বর্গকিলোমিটার এলাকায় একটি প্রাথমিক সমীক্ষা করবে। এই সমীক্ষা প্রতিবেদনে আয়রন ওরের মজুত যথেষ্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী সময়ে মাইনিং করার লক্ষ্যে বিস্তারিত ফিজিবিলিটি স্টাডি পরিচালনা করা হবে।
Be the first to comment