মফস্বল প্রতিবেদক:
অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে যদি পেট্রোবাংলা ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের কেউ সম্পৃক্ত থাকেন তাহলে তার দ্বিগুণ সাজা হবে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও ফৌজদারি মামলা করা হবে। তার চাকরির ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা হবে, তার সাজাও হবে। এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে চুরি ও দুর্নীতির অভিযোগ আনা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এলাকায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার সাহায্যে মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মনিটরিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এখন থেকে জরিমানার পাশাপাশি সাজাও দেওয়া হবে। অপরাধ প্রথমবার কেউ যদি করেন তাহলে তিন মাস কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হবে। ম্যাজিস্ট্রেট যেভাবে চান সাজা দিতে পারবেন। কেউ যদি দ্বিতীয়বার একই অপরাধ করেন তাহলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে। অর্থাৎ ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।’
বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সাজার মেয়াদ আরও বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তখন প্রথমবারে ছয় মাস কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং দ্বিতীয়বার কররে তা দ্বিগুণ। শিল্প ও সিএনজির ক্ষেত্রে প্রথমবার অপরাধ করলে এক বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা। চাইলে দুটোই দেওয়া যেতে পারে। দ্বিতীয়বার করলে তা দ্বিগুণ হবে। গৃহস্থালির সংযোগ কেউ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করলে সেক্ষেত্রে তিন মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা। সঞ্চালন বা বিদ্যুতের লাইন অর্থাৎ মিটারের ক্ষতিসাধন করা হলে সে বিধানও আইনে রয়েছে।’
তিতাসের এমডি প্রকৌশলী হারুনুর রশীদ মোল্লা বলেন, ‘আমাদের কাজ করতে হবে। কাজ না করলে আপনারাও গ্যাস পাবেন না। শিল্প মালিকদের বলছি, আপনার জন্য আমি গ্যাস দেই। বৈধ কাস্টমারদের গ্যাস দেই, পাইপ লাইন করেছি। এখানে চারটা ইন্ডাস্ট্রি কিন্তু চার হাজার অবৈধ চলে গেছে। এগুলো কি আপনার সম্পত্তি না? আপনিও এটার মালিক। তাহলে আপনি কেন পাহারা দেবেন না?’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গত ছয় মাসে দুই লাখ ২৩ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জেই এক লাখ ২৭ হাজার। আমাদের এই অবৈধ সংযোগগুলোকে শূন্যে নামিয়ে আনতে হবে। আপনারা এই অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদ করে উদাহরণ সৃষ্টি করুন যে নারায়ণগঞ্জে কোনো অবৈধ সংযোগ নেই। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন। আমাদের কোনো কর্মকর্তা যদি জড়িত থাকে আমাদের জানান।’
Be the first to comment