ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড গড়তে পারে

ডেস্ক প্রতিবেদন :
ভারতে প্রবল গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহের জেরে বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড গড়তে পারে। আর সেই মতো জোগান না থাকায় জুনে বিদ্যুত ঘাটতি ১৪ বছরে সর্বাধিক হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার।

এ বছর জুনে রাতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ঘাটতি ১৪ গিগাওয়াটে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা ও রাতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকা এবং জল বিদ্যুৎ প্রত্যাশামাফিক না হওয়ায় সব মিলিয়ে ঘাটতি মাত্রা ছাড়ানোর আশঙ্কা আছে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা এবং জোগানের ঘাটতি ২০০৯-১০ সালের পরে সবচেয়ে বেশি। জল বিদ্যুৎ উৎপাদন চার দশকে সর্বনিম্ন।

বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন সেভাবে বাড়েনি। ইতোমধ্যেই ভারতে সব গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে পুরোদমে কাজ চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে হাল খতিয়ে দেখতে জরুরি বৈঠকে বসেছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ। বৈঠকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পিছোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ৫ গিগাওয়াটের বন্ধ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ফের চালুর কথাও। যার চাহিদা মেটানো যায়।

গত সেপ্টেম্বরে ভারতে রেকর্ড গড়ে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছিল ২৪৩ গিগাওয়াটে। কেন্দ্রের অনুমান, এবার এপ্রিল-জুনে তা হতে পারে ২৬০ গিগাওয়াট।

গ্রিড ইন্ডিয়া প্রজেক্টসের মতে, জুনে রাতে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে ২৩৫ গিগাওয়াটে। এর মধ্যে ১৮৭ গিগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ থেকে আসার কথা। প্রায় ৩৪ গিগাওয়াট আসতে পারে অপ্রচলিত বিদ্যুৎ থেকে।

এমন পরিস্থিতিতেই জুনে ঘাটতি মেটাতে উৎপাদন কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণ পিছোনো-সহ নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার।

সুত্র: রয়টার্স

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.