বিদ্যুৎ জ্বালানি কোম্পানি বোর্ডে থাকবেন ছাত্র প্রতিনিধি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ জ্বালানিখাতের কোম্পানিগুলোর পূর্ণগঠিত বোর্ডে স্থান পেতে যাচ্ছেন ছাত্র প্রতিনিধিরা। আজ বিকেলে বিদ্যুৎ ও জ্বালনি বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আজ পেট্রোবাংলাতে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
সরকার সম্প্রতি বিগত সরকারের সময় গঠিত বোর্ড থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রতিনিধিদের সরিয়ে দিয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, কোম্পানির বোর্ডে অপরিহার্য না হলে সচিব থাকবেন না। যদিও এখন প্রায় সকল কোম্পানির বোর্ডে চেয়ারম্যান হিসেবে সচিবরা দায়িত্ব পালন করেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের আর কত দিন। এখন ছাত্রপ্রতিনিধিরা বোর্ডে থাকবেন। তারা ওই ভাবে না বোর্ডে মিটিং এ অংশ নেবেন।
তিনি বলেন প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন আমারা সকলে সম্পদের হিসেব দেব। আমাদের সংস্থা প্রধানরাও সম্পদের হিসেব দেবে। তিনি বলেন, আমাদের টাকা দিয়ে কোন কাজ হাসিল করা যাবে না। কিন্তু কেউ যদি এরপরও মনে করেন আমাদের টাকা দেবেন তাহলে আসতে পারেন আমরা টাকা নিয়ে রিসিট দিয়ে দেব। দেশী টাকা হলে দেশী টাকার রিসিট দেব আর ডলার হলে ডলারের রিসিট পাবেন। তিনি বলেন, আমি কর্মজীবনের শুরুতে শুল্ক বিভাগে কাজ করেছি। এরপর ইডকলে কাজ করেছি। বিদ্যুৎ সচিব হিসেবও কাজ করেছি। আমাকে টাকা দিয়ে কেনা যাবে না।
উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ এবং গ্যাস আমদানীর দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমারা যা কিছুই কিনি বেশি দামে কিনি। ভারত আমাদের চেয়ে কমদামে গ্যাস বিদ্যুৎ কেনে। আবার কেনার ক্ষেত্রে অনেকক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট পেয়ে থাকেন। কিন্তু আমরা সেই ডিসকাউন্ট পাই না কেন বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
দেশের সকল নাগরিকরা সমহারে বিদ্যুৎ জ্বালানি পাবেন। উপদেষ্টা বলেন, যারা ঢাকায় বসবাস করেন তারা মানুষ অন্য এলাকার মানুষ না এটা হতে পারে না। গ্যাস বিদ্যুৎ যদি রেশনিং করতে চান তাহলে আগে আমার বাড়ি থেকে করেন। তিনি বলেন, আমি খুলনা যাবো সেখানে দেখবো সাধারণ মানুষ কেমন গ্যাস বিদ্যুৎ পাচ্ছেন সেখানে আমি নিজেই দেখবো। দেখে সন্তোষজনক হলেই আমি মনে করবো ভালো কাজ হচ্ছে।
তিনি বলেন, খুলনাতে একটি ৮৮০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি কিন্তু সেখানে আমরা গ্যাস দিতে পারছি না। এটা কোন ধরনের পরিকল্পনা হলো। গ্যাসের সংস্থান না করেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র কেন নির্মাণ করা হলো।
তিনি বলেন, আমরা শুরুতে এসেই বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বিশেষ আইন ২০১০ বাতিল করেছি। এখন থেকে কাজ পেতে হলে উন্মুক্ত প্রতিযোগীতার মাধ্যমে পেতে হবে।
তিনি বলেন, আপনার ইচ্ছা হলে আপনি আপনার টাকা দিয়ে বেশি দামে রুই মাছ কিনতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এমন হতে পারে না। মানুষ বিদ্যুতের নাম নিয়ে বিরক্ত। এমনকি আমি নিজেই বিরক্ত।
তিনি বলেন, ২০১০ এর আইনের ফলে বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, গণ শুনানি না করেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর নীতি নিয়েছিল সাবেক সরকার। আমরা সেটি বাতিল করেছি।
সাবেক সরকারের সব কিছুই খারাপ বলে আমরা মনে করি না। আমরা তাদের সমালোচনা না করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.