নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউটের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা। ১৯ অক্টোবর (শনিবার) বিকাল ৪টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ঢাকা-১ এর জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (আইটি) মো. তামজীদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ব্ল্যাকআউটের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা বলেন, দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট ছিল না। শাটডাউন ছিল। কিন্তু তবুও সেটা করা উচিত হয়নি। এর ফলে সাধারণ গ্রাহকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আমরা তার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কিন্তু আমরা এখন যে সংস্কার চাচ্ছি তা শুধু আমাদের জন্য না, গ্রাহকদের জন্যও।
নরসিংদী-১ এর ডিজিএম আবদুল্লাহ আল হাদি বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ খাতে যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার জন্য দায়ী আরইবি। তাদের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ফলে আজ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন, সেই সঙ্গে সাধারণ গ্রাহকরাও। আমরা শিগগিরই এর সমাধান চাই। এ সময় তিনি বোর্ড এবং সমিতিকে একীভূত করার দাবিও জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত, হামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়ে চার দফা দাবি তুলে ধরেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও কর্মকর্তারা।
দাবিগুলো হলো
১. আরইবি সৃষ্ট অস্থিতিশীল পল্লী বিদ্যুৎ খাতে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে ২৪ জনের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া ও স্ট্যান্ড রিলিজ এবং সংযুক্ত ২ জনকে পদায়ন করা।
২. গ্রাহকের কাছে জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য সমিতি ও বোর্ড সংস্কার করে একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠান করা ও স্থায়ী পদের বিপরীতে চুক্তিভিত্তিকদের নিয়মিত করা।
৩. ছাত্র সমন্বয়কসহ স্বাধীন কমিশন গঠন করে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ করা।
৪.আরইবির দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা।
Be the first to comment